দোলনচাঁপার সৌরভ!


শুভ্র আর সুগন্ধী ফুল দোলনচাঁপা, তার রূপ ও গন্ধের জন্য বরাবরই আকর্ষণীয়। কবিতায় আর গানে বাংলায় দোলনচাঁপা বারবার উঠে এসেছে , উঠে এসেছে প্রেম প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে।
যেমন, দোলে দোলে দোলে প্রেমের দোলন-চাঁপা হূদয়-আকাশে’—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানে এভাবেই উঠে এসেছে দোলনচাঁপা ফুল। কল্পনাশক্তি দিয়ে কবিগুরু দোলনচাঁপাকে হৃদয়ের  আকাশে দোল খাওয়ার কথা বললেও ফুলটি আসলে মাটির কাছাকাছি একটি ফুল। 
সে কথা থাকুক না তোলা , দোলনচাঁপা ফুল নিয়ে কাটাই একটু বেলা। 
দোলনচাঁপা ফুলের দেখা শরতেও অল্পবিস্তর মেলে। ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয়।  রাতের সাথে গভীর সম্পর্ক তাই সৌরভটা আরও রাতের বেলা ছড়ায় এই ফুল কেননা -তীব্র আলোর সাথে অভিমান আছে তার। বিকেল অথবা সন্ধ্যার আগে দুই পাপড়ির চমৎকার এই ফুলটি নজরে আসে না। বর্ষার সন্ধ্যায় একরাশ সুগন্ধ নিয়ে হাজির হয় দোলনচাঁপা; তবেই তো প্রেমের সাথে, কবির সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ে আছে সেই কবে থেকে।দোলনচাঁপার বৈজ্ঞানিক নাম Hedychium Coronarium. এটি Zingiberaceae পরিবারের সদস্য। 
মণিপুরি ভাষায় দোলনচাঁপা হচ্ছে তখেল্লৈ অঙৌভা। সোনটাকা এর মারাঠি নাম। আসামে দোলনচাঁপা হলো সুরুলি সুগন্ধি। সমতল ও পাহাড় দুই জায়গাতেই ভালো হয় দোলনচাঁপা। এর আদি বাড়ি উত্তর ভারত। বর্ষা ও শরৎ দুই ঋতুতেই সুরভিত ফুল থাকে গাছে।

*ইন্টারনেট

দোলনচাঁপার নান্দনিক পাপড়িগুলো সাদা প্রজাপতির কথা মনে করিয়ে দেয় সহজেই। ফুলেল গাছটার দিকে তাকালে একরাশ সাদা প্রজাপতির কথা মনে না এসেই যায় না। এই গাছের গড়নের সাথে আদা গাছের সাদৃশ্য চোখে পড়ে। তাই এর ইংরেজি প্রচলিত নাম Butterfly Ginger Lily অথবা White Ginger Lily.

0 Comments